আপনার কি সামনেই বিয়ে? তাহলে তো ফুলশয্যাও খুব কাছাকাছি। হয়তো আপনি এখন থেকেই চিন্তা করছেন ফুলশয্যার রাতে কি করবেন আর কী কী করবেন না। হুম একটু আধটু ডিপ্রেস সবাই থাকে হয়ত আপনিও একটু ডিপ্রেস আছেন।
তাহলে দেরি না করে জেনে নিন ফুলশয্যার রাতে আপনি কি করবেন। আর ঠিক কি করলে আপনার বিবাহিত জীবন অনেক মধুর হবে।
১) ব্যবহারই মানুষের পরিচয় এটা হয়তো আপনি জানেন। তাই প্রথমে আপনাকে যেটা সব থেকে আগে ঠিক করতে হবে সেটা হল আপনার ব্যবহার। যদি আপনার প্রেম করে বিয়ে হয় তাহলে সে ব্যাপারটা আলাদা। সেখানে দুজনের মধ্যে আলাপ পরিচয় খুব ভালোভাবেই থাকে। কিন্তু যদি আপনার সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়, সেখানে দুজনের মধ্যে আলাপ পরিচয় খুব সামান্য থাকে প্রায় থাকে না বললেই চলে। আমি এখানে মূলত সম্বন্ধ করে বিয়ে নিয়েই আলোচনা করব। আপনি একজন অচেনা নারীকে বিয়ে করতে চলেছেন তিনি হবেন আপনার বিবাহিত স্ত্রী। তো যেহেতু আপনাদের মধ্যে আলাপ-পরিচয় আগে থেকে থাকবে না তাই বিয়ের প্রথম রাতেই আপনাদের মধ্যে আলাপ পরিচয়টা ভালোভাবেই সেরে নিতে হবে। কোনভাবে কোন রকম উগ্রতা দেখাবেন না। একটু একটু ভয় পেলে মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু উগ্রতা যেন একটুও না থাকে। কথাবার্তায় অনেক সংযত রাখবেন।
২) ফুলশয্যার রাতে যে ব্যাপারটা আপনাকে সব থেকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল আপনি কেমন পোশাক পরে ফুলশয্যার ঘরে প্রবেশ করবেন। মূলত যে রঙের পোশাক পরলে আপনাকে সব থেকে বেশি ভালো লাগে সেই রঙ টাই বেছে নেবেন। অবশ্যই আপনি পাজামা-পাঞ্জাবি পড়বেন, এটাই সেরা বাছাই বলে আমার মনে হয়। আগে থেকে জিমে গিয়ে একটু বডিটাকে ঠিক করে নিতে পারেন। ভালোভাবে হেয়ার কাট রাখবেন যেটা আপনাকে মানায়। তারপর পারফিউম মেরে ভালোভাবে পোশাক পরে প্রবেশ করুন ফুলশয্যার ঘরে।
৩) এবার আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে আলাপ শুরু করতে পারেন। খানিকটা হালকা ভাবে গল্প করুন, অবশ্যই আপনার স্ত্রীকে এটা বুঝিয়ে দেবেন যে আপনি কোন সাংঘাতিক মানুষ নন, আপনি একজন মজার মানুষ। সারাদিন বিয়ে বাড়িতে যা যা ঘটলো সেইসব নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। অবশ্যই আপনি আপনার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করবেন তিনি আপনাকে বিয়ে করে খুশি কিনা। আপনি খুবই সাধারণ ভাবে কথা বলবেন ,ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে একদম কথা বলবেন না। যা বলবেন সব সত্যি কথাই বলবেন। কারণ দুজনের মধ্যে বিশ্বাসটা গাঢ় হওয়া দরকার।
৪) ফুলশয্যার রাত মানে একটা নারীকে নিজের মতো করে পাওয়া। আপনার লজ্জা লাগলেও হয়তো ইচ্ছে করবে অনেক কিছুই করতে, কিন্তু তার আগে অবশ্যই বুঝে নেবেন আপনার স্ত্রী কি চায়। হয়তো আপনি চাইছেন অনেক কিছুই করতে কিন্তু আপনার স্ত্রী চাইছে না। তারপরেও যদি আপনি কিছু করেন সেটা জোর করা হবে। তাই আগে থেকে ভেবেচিন্তে কাজ করবেন।
৪) অবশ্যই ফুলশয্যা যেখানে করবেন সেখানে যেন বিয়ে বাড়ির হৈ হট্টগোল না থাকে, খেয়াল রাখবেন বন্ধুবান্ধব বা ভাই-বোনেরা যেন আড়ি পাততে না পারে, তাহলে কিন্তু ফুলশয্যার মজাটাই মাটি হয়ে যাবে।
৫) অবশ্যই আপনি ফুলশয্যার ঘরে যে কোন একটা উপহার নিয়ে প্রবেশ করবেন। ছোটখাটো হলেও চলবে কিন্তু অবশ্যই কোন না কোন উপহার দেবেন। আপনার স্ত্রী কোনটা পছন্দ করে বা কোনটা পছন্দ করে না সেটা আপনি আগে থেকে ওর পরিবারের লোকের সাথে কথায় কথায় জেনে নিন। সব মেয়েরাই তার প্রিয়জনের কাছ থেকে উপহার পেলে খুব খুশি হয়। আশা করছি আপনি সব বুঝে গিয়েছেন, আপনার বিবাহিত জীবন অনেক সুখের হোক এটাই কাম্য।
ধন্যবাদ।
Thanks it's very helpful post.
ReplyDelete