মহিলাদের কাছে আকর্ষণীয় হতে গেলে হীনম্মন্যতায় ভুগলে হবে না। নিজের উপরে বিশ্বাস রাখটাই মূলমন্ত্র। আপনার মনে হতেই পারে মহিলাদের নজর টানায় আপনার বন্ধু অনেকটাই এগিয়ে, কিন্তু, কিছু শর্ত মানলে আপনি এই কর্মে সিদ্ধহস্ত হতে পারেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই সর্ত
১. মহিলা দেখা মাত্রেঐ হামলে পড়বেন না। পার্টি হোক বা পারিবারিক অনুষ্ঠান অথবা বন্ধুমহল পছন্দের মানুষকে চোখ দিয়ে মাপুন। দেখার চেষ্টা করুন তাঁর নজর কোথায়। পারলে, তাঁর দৃষ্টিপথের কাছাকাছি থাকুন। আগ বাড়িয়ে পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
২. নজরে পরিচিত হলে এবার পরিচয়-পর্বের দিকে এগোন। তার দিকে তাকিয়ে হালকা হাসুন খেয়াল রাখবেন খুব বেসি হাসা আবার ভাল নয়। আড়চোখে বোঝার চেষ্টা করুন, সে আদৌ আপনাকে খেয়াল করছে কি না। পারলে তার পরিচিত গণ্ডির মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করুন। সুযোগ বুঝে হাসিমুখে ‘হাই’ বা ‘হ্যালো’ বলুন। এমন আচরণ করবেন না যে, আপনাকে তাঁর ‘হ্যাংলা’ বলে মনে হয়।
৩. ‘হাই-হ্যালো’-র মধ্যে পরিচয়টা সেরে ফেলুন। জানার চেষ্টা করুন, তিনি কি কাজ করেন যেমন পড়াসোনা করেন না অন্য কন কাজ করেন। এর বেশি এগোবেন না। যদি, মনে হয় আরও একটু কথা বলা যাচ্ছে, তাহলে কিছু জোকস শেয়ার করুন। হাসির কথা বলুন। বোঝানোর চেষ্টা করুন আপনি একজন কৌতুকপ্রিয় মানুষ।
৪. পরিচয়ের এই পর্বটাকে এগিয়ে নিয়ে চলুন। একবারও বোঝানোর চেষ্টা করবেন না যে আপনি শুধু তার সঙ্গেই কথা বলতে আগ্রহী। পারলে তার আশপাশে থাকা অন্য মেয়েদের সঙ্গেও পরিচয় করার চেষ্টা করুন।
৫. এবার সুযোগ বুঝে কথার আড়ালে মনের জনের সঙ্গে মোবাইল নম্বরটা এক্সচেঞ্জ করে নিন। জেনে নিন এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ না সরাসরি মোবাইলে কথা বলা— কোনটা তার বেশি পছন্দ? কোন সময়ে এসএমএস পাঠালে তিনি বিরক্ত হবেন না? সেইসঙ্গে জানুন, মোবাইলে তাকে কোন সময়ে বেশি পাওয়া যেতে পারে। পারলে জানিয়ে দিন, আপনাকে কাজের খাতিরেই সবসময় মোবাইল খোলা রাখতে হয়। দিন হোক বা রাত— যে কোনও সময়েই আপনাকে মোবাইলে পাওয়া যায়।
৬. পছন্দের নারীর ফোন নম্বরটা না হয় জোগাড় করলেন, এরপর? পারলে তার অন্য কোনও বান্ধবীদের মোবাইল নম্বরগুলিও সংগ্রহে রাখুন। এরপর পছন্দের নারীর সঙ্গে তার বান্ধবীদেরও মজার মজার হোয়াটস্অ্যাপ মেসেজ পাঠান।

৭)সাক্ষাতের সময়ে জানার চেষ্টা করুন, কেমন ছিল মেসেজ। তার বান্ধবীদেরও জিঞ্জেস করুন তাদের কেমন লেগেছে। পছন্দের নারীর মন বোঝার চেষ্টা করুন অন্যদের পাঠানো মেসেজ তার কাছে না আসায় সে রাগ করেছে কি না। পারলে, কথায় ব্যস্ত রাখুন এবং প্রমিস করুন রাতে আবার ফোন করবেন।
৮)সাত সন্ধ্যায় ফোন করে বসবেন না যেন। একটু রাত করে মেসেজ পাঠিয়ে জানতে চান, ফোন করা যাবে কি না। উত্তর এলে ভাল, না এলেও ভাল। মিনিট দশেক পরে সাহস করে ফোনটা করেই ফেলুন। কথার ফাঁদ এমন পাতুন যেন পরম বন্ধুর মতো কথা বলছেন। ফোনে হাসি-ঠাট্টা যখন চরমে তখনই বলুন পরে কথা হবে, এখন কাজ আছে।
৯)মোবাইলে এবার একটু অ্যাডাল্ট হাসি-ঠাট্টা করুন। এরপর বুঝে নিন সম্পর্ক এখানেই থামাবেন না এগিয়ে নিয়ে যাবেন, কারণ আর একটু হাঁটলেই সেই মহেন্দ্রক্ষণকে ছুঁয়ে ফেলতে পারেন আপনি।
১০)যদি আপনার মনে হয় যে সম্পর্ক টা আরো এগানো যাবে তাহলে এগান
আসাকরি আপনাদের এই পোস্টটি অনেক কাজে লাগবে।
ধন্যবাদ
Comments
Post a Comment